সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট নিয়ে বক্তব্যে ক্ষমা চেয়েছেন দুই মন্ত্রী, সময় চাইলেন কামরুল



ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তাদের আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছেন। আজ আদালতে দুই মন্ত্রীর হাজির হওয়ার নির্ধারিত দিন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব গতকাল সোমবার বলেন, দাখিল করা জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে আদালতের মর্যাদা ক্ষুণœ হয় এমন বক্তব্য দেবেন না বলে ওই আবেদনে বলেছেন। আর সরকারি কাজে দেশের বাইরে থাকায় সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে সময় চেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষেও লিখিত বক্তব্য জমা দেয়া হয়। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রীও এ ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
৮ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বক্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে তাদের তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আজ ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় দুই মন্ত্রীকে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন আদালত। ৬ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পরে দুই মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে আইন অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মন্ত্রীদের ওই বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
সংগ্রহ: আজকের পত্রিকা