কমলকুঁড়ি রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সৌদিতে যাওয়ার প্রলোভনে পিতা পুত্রের কাছে সভ্রম হারালো এক কিশোরী এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় পিতা ও পুত্রের বিরোদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে-উবাহাটা নামক গ্রামে। থানা পুলিশের এজহার সূত্রে জানা যায়, সিলেট গোয়াইনঘাট উপজেলার জাপলং বাজারের আপন মার্কেট নামক স্থানের মো ঃ রজব আলীর কন্যা রোজিনা আক্তার (১৫)এর বাড়ীতে গিয়ে গৃহ পরিচালনার কাজে বিনা খরচে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রলোভন দেখায় লতিফ মিয়া (৩০)। মেডিকেল করানোর কথা বলে লতিফের শাশুরী টাইগারনি ২৭ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে অভাবী সংসারের সহজ সরল নিরীহ প্রকৃতির মেয়ে রোজিনা আক্তার কে তার এলাকা জাপলং হতে কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে-উবাহাটা নামক গ্রামে জামাতা কালা চুরার পুত্র লতিফ মিয়ার হাতে তুলে দিয়ে, ঐ রাতেই মেয়েটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে চলে যায় টাইগারনি । ২৭,শে এপ্রিল হতে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কিশোরী মেয়ে রোজিনাকে বাড়ীতে বন্দী করে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে কখনও পিতা কালাচুরা আবার পিতার অনুপস্তিতে কখনো পুত্র লতিফ মিয়া মিলে মেয়েটিকে একাধিক বার শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করে। ২৯ শে ্এপ্রিল সন্ধ্যায় ভোট চ্ওায়ার কাজে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ কালাচুরার বাড়ীতে গেলে তালা বদ্ধঘরে একটি মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে সন্দেহ জাগে এ ব্যাপারে প্রতিবেশির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিবেশিরা জানায় যে, ঐ বাড়ীতে কোন মহিলা থাকে না কিন্তু একটি মেয়ের কান্নার আওয়াজ আমরাও শুনছি। পরবর্তীতে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ সহ মাইন উদ্দিন, সোনাওর মিয়া,শেখ আহমদ সেলিম মিয়া, ইউনুস মিয়া, শাহীন মিয়া, জালাল মিয়া প্রমূখরা কালাচুরার কাছে জিজ্ঞাস করলে সে, অস্বীকার করে বলে আমার বাড়ীতে কোন মহিলা নেই, বিশ্বাস না হলে আপনারা গিয়ে দেখতে পারেন। পরে ঐ এলাকার লোক জন ঘরের তালা ভেঙ্গে কিশোরী রোজিনাকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চা দোকানদার রশিদ মিয়ার দোকানে নিয়ে আসলে এ সময় কালাচুরা ও তার পুত্র লতিফ মিয়া গা ঢাকা দেয়। এব্যাপারে কিশোরী রোজিনা বলে, লতিফ আমাদের এলাকায় তার শশুড়ী (টাইগারনির বাড়ীতে) বেড়াতে গিয়ে আমাদের পরিবারের সাথে পরিচয় হয় , এক পর্যায়ে আমার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ কালে সে জানায় আমার কাছে অনেক সুযোগসুবিধা আছে যদি আপনাদের মেয়েকে গৃহ পরিচালনার কাজে বিনা খরচে সৌদি আরবে পাঠাতে চান তাহলে আমি সে ব্যবস্থা করে দিতে পারি। পরবর্তীতে তার কথার বিশ্বাসে আমার মা রোবিনা বেগম আমাকে টারগারনির সাথে পাঠান লতিফের বাড়িতে ।ঐ রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাকে একটি ঘরে থাকার জন্য জায়গা দিলে আমি একা ঘরে শুয়ে পড়ি এরপর থেকে পিতা আবার পিতার অনুপস্তিতে পুত্র লতিফ মিলে আমাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে একাধিক বার পার্শ¦বিক শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করে। এ ব্যাপারে মেয়েটি বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় পিতা ও পুত্রের বিরোদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে ।
এ বিষয়ে এসআই আজিজুল রহমান জানান, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারা মামলা নং ১৩ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ বদরুল হাসান বলেন মেয়েটিকে মেডিকেল পরীার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে । মেডিকেল রির্পোট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।