শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

চা শ্রমিকদের আন্দোলন ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার



 

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

হবিগঞ্জের কয়েকটি চা বাগানের লিজ নেয়া জমিতে সরকার একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সেটি বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন সেখানকার শ্রমিকরা। চা বাগান সংলগ্ন এসব জমিতে চা শ্রমিকরা ধান চাষসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ করে থাকেন। খবর বিবিসি বাংলা
হবিগঞ্জে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে যোগ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরাও। সবমিলিয়ে ১৫টি চা বাগানের প্রায় ১৫ হাজারের মতো শ্রমিক আন্দোলন করছেন। শ্রমিকরা বলছেন, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, চা শ্রমিকরা খুব অল্প মজুরিতে কাজ করেন বলে তারা এই জমির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। মাত্র ৬৯ টাকা দৈনিক মজুরিতে আমরা কাজ করতে পারছি, কারণ ওই জমিটা আমরা ভোগ করতে পারি বলে। দেড়শ বছর ধরে আমরা যে জমিতে চাষ করছি সেটি নিয়ে নিলে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে যায়।
এদিকে চা শ্রমিকদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেন, চা বাগান সংলগ্ন এসব
জমি পতিত হিসেবেই পড়ে রয়েছে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে এই জমিগুলো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। এখানে গ্যাস আছে, বিদ্যুৎ আছে। দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো এখানে আসলে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে। বিশেষ করে চা শ্রমিকদেরও একটি মুক্তির পথ তৈরি হবে। ইকোনোমিক জোন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চা শ্রমিকদের মজুরিও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা চলছে এবং একটি তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হবে বলে জানান হবিঞ্জের জেলা প্রশাসক।
তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শ্রমিকদের সাথে কোনো আলোচনা করা হয়নি বলে দাবি করছেন চা শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরী। তিনি বলেন, এর আগেও চা বাগানের জমি নিয়ে শ্রমিকদের নানা সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। চা শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে চা বাগানের মালিকদের সম্পর্ক নেই। তারা শুনেছেন যে মালিকরাও জমি না নেয়ার পক্ষে তাদের মতামত দিচ্ছেন।

– See more at: http://ajkerpatrika.com/last-page/2015/12/22/63992#sthash.i7s3e3DH.dpuf