বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

লাউয়াছড়ার টিলাভূমি বাড়ি ও বাগান গড়ে তুলে বেদখল হচ্ছে



বাড়ি ও বাগান গড়ে তুলে বেদখল হচ্ছে লাউয়াছড়ার টিলাভূমি
কমলগঞ্জ : লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কালাছড়া বনবিট সংলগ্ন টিলা দখল করে আনারস বাগান করা হয়েছে —ইত্তেফাক

মাত্র ১ হাজার ২৫০ হেক্টর আয়তনের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কালাছড়া বিট সংলগ্ন টিলাভূমি দখল করে নিচ্ছে ভিলেজাররা। অনেক আগে থেকে বনভূমি দেখভালে ভিলেজাররা বনবিভাগের কাছ থেকে বসবাসের জন্য কিছু জমি বরাদ্দ নেয়। পর্যায়ক্রমে এসব জমির সাথে টিলাভূমি দখলে নিয়ে নতুন করে বাড়িঘরের সাথে লেবু, আনারস, কাঁঠাল বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে সংকোচিত হচ্ছে প্রাণীর আবাসস্থল ও পরিবেশের ক্ষতি বয়ে আনছে।

কালাছড়া বিট সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানকার স্থানীয় কয়েকটি পরিবার কয়েক যুগ ধরে বনের টিলাভূমিতে বসবাস করছে। তারা ভিলেজার হিসাবে বনাঞ্চল দেখভালের জন্য বনবিভাগের কাছ থেকে সামান্য ভূমি বরাদ্দ নেয়। এসব ভূমির সাথে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন টিলাভূমি দখলে নিয়ে কয়েক একর টিলাভূমিতে নতুন নতুন বাড়িঘর ও ফল বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব টিলার ঝোপজঙ্গল ও গাছ কেটে চাষাবাদ করা হচ্ছে। টিলাভূমি দখলের বিষয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট কালাছড়া বিট সংলগ্ন সরইবাড়ি ও বাদে উবাহাটা গ্রামের আবুল হোসেন, ইসমাইল মিয়া, রহমান মিয়াসহ স্থানীয়রা বন্যপাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ প্রদান করেন।

তবে বনের টিলায় বসবাসরত বাসিন্দা বশর মিয়া ও স্থানীয় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম বলেন, আমাদের বাপদাদার আমল থেকে ভিলেজার হিসাবে এখানে বসবাস করছি। ২০০১ সালে ২৫ হেক্টর ফলজ বাগানের জন্য ফরেস্ট প্রস্তাবনা দেয়। এরপর আমাদের প্রায় পৌণে দুই একর জমি দেওয়া হলে আমরা সেখানে কাঁঠাল, লেবু বাগান গড়ে তুলি। নতুন করে কোনো বাগান গড়ে উঠছে না। তারা আরও বলেন, বাফারজোনের গাছ কেটে আনারস বাগান করা হচ্ছে।

কালাছড়া বনবিট কর্মকতা মিজানুর রহমান বলেন, ভিলেজাররা অনেকদিন ধরে বসবাস করছে। তারা তাদের অংশে বাগান করছে। তবে টিলাকাটা, গাছ কাটা ও নতুন বাগানের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তারা প্রতিবছরই বাড়িঘর করছে। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আবু মোহিত মোঃ মুছা, আসলে তারা এখন প্রকৃত ভিলেজার নয়। অনেক আগে তাদের ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কি পরিমাণ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িঘর নির্মাণ, টিলাকাটার বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়টি হাতে পৌঁছেনি।

সূত্র : ইত্তেফাক