বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

কমলগঞ্জের আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযুক্ত দুই ছাত্র বহিষ্কার



image-32541
কমলকুঁড়ি রিপোর্ট 
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করলেও ঘটনার এক সপ্তাহেও থানায় কোন মামলা হয়নি। একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি আপোষ মীমাংসার করার নামে ধামাচামা দেওয়ার চেষ্টায় এলাকার ছাত্র ও সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী এখন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইউনিয়নের নন্দগ্রাম এলাকার আনছার মিয়ার মেয়ে আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সোমবার ক্লাস টাইমের কিছু আগে সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় আসে। এ সময় মাদ্রাসায় কোন-ছাত্র শিক্ষক না থাকায় ওই ছাত্রীটিকে একা পেয়ে একই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী  আতিফ চৌধুরী (১০ম শ্রেণী), আবিদ আলী (১০ম শ্রেণী) ও বহিরাগত ছাত্র  মুহিবুর রহমান- এই তিনজন মিলে মুখ বেঁধে মাদ্রাসার নতুন ভবনের বাথর”মে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা আসা শুর” করলে ধর্ষক নরপশুরা পালিয়ে যায়। ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীকে গলা টিপে হত্যারও চেষ্টা করে বলে ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।  এ ব্যাপারে আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার কাজী মাও: আলম চৌধুরী  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মাদ্রাসার দুই ছাত্র আতিফ ও আবিদকে ঘটনার দিনই স্থায়ীভাবে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মত ঘটনায় কেন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না এই প্রশ্নে সুপার বলেন, আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়ে রেজুলেশন কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে রোববার ডাকযোগে প্রেরণ করেছি। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি টাকার বিনিময়ে আপোষ মীমাংসার কথা বলে একটি প্রভাবশালী মহল প্ররোচনা দিয়ে থানা বা আদালতে মামলা দায়ের করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার জড় বইছে। ঘটনার এক সপ্তাহে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এ প্রশ্ন এলাকার সচেতন মহলের। এঘটনায় ছাত্রীর চাচা নজির মিয়া কমলকুঁড়িকে বলেন, বিষয়টি যত গড়িয়েছে ততটি নয়। এটি আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে শেষ করা হবে। পতনঊষার ইউনিয়নের ছাত্র ও যুব সমাজ এই নাক্কারজনক ঘটনায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু বলেন, মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়েছি। ভিকটিমের পরিবারকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। নাক্কারজনক এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত বহি®কৃত ছাত্রের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. বদর”ল হাসান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। আমি ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। পাশাপাশি মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষাসহ থানায় মামলা দেয়ার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে জানানো হয়েছে।