বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

কুলাউড়ায় বিএনপির একাংশের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস



কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা

news-pic-1-150x150

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী  মীর্জা আব্বাস  ২৭ আগষ্ট রোববার বিকাল কুলাউড়ায়  বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। তার সফর সঙ্গী ছিলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. আবেদ রাজা, জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুসহ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

গাড়ী বহর নিয়ে ব্রাহ্মণবাজার মিশনে পৌছিলে এড. আবেদ রাজার নেতৃত্বে কুলাউড়া উপজেলা, পৌর  এবং ১৩টি ইউনিয়নের কয়েক শত নেতৃবৃন্দ তাদের ফুলেল তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।  কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে ফুলের অভ্যর্থনা জানানো হয়। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি ও সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সোহেলের পরিচালনায়  প্রধান অতিথি মীর্জা আব্বাস বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ, প্রবীন বিএনপি নেতা আশরাফ আলী চৌধুরী, ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান মনির, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ময়নুল হক বকুল, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিরাজ উদ্দিন বলু, উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির নেতা আব্দুর রহমান নিয়াজী, পৌর যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফয়জুর রহমান গোলাপ,  বদরুল হোসেন খান, রুমেল খান, মিজানুর রহমান, মশাইদ আলী, এড. আব্দুস সালাম, প্রভাষক সামছুল ইসলাম আলম ও মোহাম্মদ আলী শামীম, শামীম আহমদ,  মুসা আহমদ সুয়েট, তানজীল হাসান খাঁন, সাইফুর রহমান সাইফুল ও  আতিকুল ইসলাম এবং ১৩ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদক, পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সম্পাদকসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

 

 

 

10

এদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শণে আসেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। তার আগমনের খবর পেয়ে কুলাউড়ায় জড়ো হন বিএনপির সাবেক এমপি এমএম শাহীন সমর্থিত অংশের নেতাকর্মীরা। সেখানে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে নামেননি মির্জা আব্বাস। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের এবং ত্রাণ নিতে আসা বানভাসী মানুষদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়।
পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। রোববার ২৭ আগস্ট বেলা সাড়ে ৩টায় কুলাউড়া শহরের উত্তরবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে আসেন। খবরটি জানতে পেরে সাবেক এমপি শাহীন সমর্থিক বিএনপি নেতারা শহরের উত্তরবাজারে ত্রাণ বিতরণ ও পথসভার আয়োজন করে। সেখানে কয়েকশ নেতাকর্মী ও ত্রাণ নিতে আসা বানভাসী মানুষ জড়ো হন। সড়কপথে সিলেট থেকে কুলাউড়া হয়ে জুড়ী অভিমুখে যাবার সময় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মির্জা আব্বাসকে পথসভাস্থলে নেমে ত্রাণ বিতরণের অনুরোধ জানান।
কিন্তু তিনি সেখানে নামেননি। উল্টো তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীরা জুড়ী চলে যান।
এসময় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান পথসভাস্থলে নেমে ত্রাণ বিতরণ করে নোতকর্মীদের শান্তনা দিয়ে যান।
কুলাউড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুরমান আহমদ জানান, রাজনীতিতে এমন লজ্জাজনক ঘটনার এই প্রথম মুখোমুখি হলাম।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামীম মূসা জানান, মির্জা আব্বাছ সাহেব জুড়ী-বড়লেখার দিকে যাচ্ছিলেন। কুলাউড়া তাঁর কোন নির্ধারিত প্রোগাম ছিলো না। তার পরও কুলাউড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে জোরপূর্বক আটকে তাদের প্রোগামে নিতে ছেয়েচিলো। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি চলে গেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে।