বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

কমলগঞ্জে বিদায়ী শিক্ষক ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদে শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও মা সমাবেশ



07ea04c6-3fbe-411b-810d-6123f67fc215শমশেরনগর প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা, জাতীয় পর্যায়ে প্রাথমিক বিভাগে একক অভিনয়ে প্রথম স্থান অধিকারকারী ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ মার্চ বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় স্থানীয় জনমিলণ কেন্দ্রে শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে একত্রে এ তিনিটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ও ফয়জুর রহমানের সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষক সংবর্ধনা, জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদে শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক তাহমিনা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ জেলার বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৩২ বছর শিক্ষকতা করার পর অবসর গ্রহনকারী শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা দীপ্তি রানী বর্মাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় একক অভিনয়ে শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মোঃ রিয়াদুল ইসলাম মাহিন প্রথম স্থান লাভ করে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। সবশেষে শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মা-দের নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুন বলেন, বিদায়ী শিক্ষিকা সততা ও নিষ্ঠার সাথে যেভাবে দীর্ঘ ৩২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন তাকে অনুসরণ করে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকরাও দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর শমশেরনগরের ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র মাহিন যে কৃতিত্ব অর্জন করেছে তা সিলেট বিভাগের মুখ উজ্জল করেছে। তাকেই অনুসরণ করে আগামীতে আরো বেশী করে কৃতিত্ব অর্জন করতে হবে। আর উপস্থিত মাদের বলেন, আপনারা বিদ্যালয়ে শুধু ছাত্র পাঠিয়ে বসে না থেকে বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বয় থাকলে লেখা পড়ার মান বাড়বে।