নিউজ ডেস্ক :: সারাদেশে একই দিনে বিভিন্ন আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পৃথক পৃথক মামলায় ৩০ জন আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের দেওয়া ফাঁসির আদেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চঞ্চল্যকর মামলাও রয়েছে- রাজধানীর পোস্তগোলায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী সুমাইয়া কানিজ সাগরিকাসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আশরাফ লিটনের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম ওরফে ইয়াছিন (২৯), হিজরা খলিল (২২), আল আমিন ও খলিল শেখ।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যুবলীগ সভাপতি জালালউদ্দিন হত্যা মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহি ভূঁইয়া ১১ জন আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে প্রবাসী স্কুলপড়ুয়া ছেলে রাকিবুল হাসান ইমন (১৩) হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়াজী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। সেই সাথে অপহরণের ঘটনার পৃথক ভাবে আরো ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার জরিমান করেছেন। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত চারজন হলেন-সাইফুর রহমান ওরফে সাইফুল (২৩), তোফাজ্জল হোসেন (২২), জামাল হোসেন (২২) ও শাহজাহান ওরফে জীবন (২১)। উল্লেখ্য, এই মামলার আসামি সাইফুর ও তোফাজ্জল পলাতক আছেন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও মোহাম্মদ ইউসুফ নামে এক সিএনজি অটোরিকশার চালককে গলা কেটে হত্যার দায়ে আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন-আবুল কালাম, কাউসার আলম, রুবেল ও নূরুল আলম। এ মামলার সব আসামি এখনও পলাতক।
সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক আবদুর রশিদ, শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার আসামিরা হলেন-সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব, পুলিশ কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান, এবং তার সোর্স আতাউর রহমান গেদা।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাইলী খাতুনকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী রোকন মন্ডলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ আদেশ দেন।
এদিকে এতোগুলো মামলার রায় একই দিন ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আদালত অঙ্গনগুলোতেও দিনভর ছিলো আলোচনা আর সমালোচনা।